1/5 - (1 vote)

বর্তমান বিয়েগুলোতে বিশাল আয়োজনের জন্য যে ধকল যায়, তার অধিকাংশই সামলাতে হয় পাত্রকে। বিয়ের শপিং, অনুষ্ঠান আয়োজন, প্ল্যানিং ছাড়াও নতুন জীবনে প্রবেশের ভয়ভীতিসহ নানা চিন্তা এসে মাথায় ভর করে এ সময়টায়। এ কারণে ছেলেদের এ সময়ে একটু ক্লান্ত দেখায়। তাই এ সময় যতই কাজ থাকুক নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে। অনেকে মনে করেন বিয়েতে কেবল মেয়েদেরই প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়, ছেলেদেরও সমানভাবে প্রয়োজন রয়েছে প্রস্তুতির। আজকে থাকছে ছেলেদের বিয়ের প্রস্তুতি এর আদ্যোপান্ত।

চুলের যত্ন

ছেলেদেরকে দিনের একটি বড় সময় কাটাতে হয় বাইরের রোদ এবং ধুলাবালিতে। যার প্রভাব পড়ে চুলে। ফলে দেখা দেয় চুল পড়া, চুলে খুশকিসহ নানা সমস্যা। তাই বিয়ের অন্তত ১ মাস আগে থেকে চুলের যত্ন নিন। চুলের যত্নে আপনি ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের রস। চুলের রুক্ষতা দূর করতে ঘরোয়া একটি প্যাক ব্যবহার করুন। ১ টেবিল চামচ মধু, লেবুর রস আর অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা চুলে মাখিয়ে ২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন চুলে তেল লাগিয়ে এ প্যাকটি ব্যবহার করুন। দেখবেন আপনার চুল কেমন সিল্কি ও মোলায়েম হয়ে গিয়েছে।

এছাড়া প্রতিদিন ডিমের সাদা অংশ মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।

চুলে কোনো বিশেষ সমস্যা থাকলে সেদিকে বাড়তি নজর দিন। সপ্তাহে তিন দিন গোসলের আধাঘণ্টা আগে চুলের গোড়ায় কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। আর সমস্যা থাকলে সে অনুযায়ী সপ্তাহে এক দিন তেলের সঙ্গে অন্য উপকরণ মিশিয়ে নিলে উপকার পাবেন। খুশকির জন্য তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ পেঁয়াজের রস মেশান। চুল পড়া কমাতে দুই ভাগ সাধারণ তেলের সঙ্গে এক ভাগ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে লাগান।

বিয়েতে নতুন কোনো হেয়ার কাট ট্রাই করতে চাইলে তিন মাস আগে একবার করে দেখুন সেটা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই কি না। অনুষ্ঠানের এক মাস আগে থেকে ১৫ দিন পর পর হেয়ার স্পা অথবা মানানসই হেয়ার ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে

ছেলেদের বিয়ের প্রস্তুতি তে ত্বকের যত্ন

কয়েক ফোঁটা জলপাই কিংবা নারকেল তেল হাতের তালুতে নিয়ে পুরো মুখে মেখে নিন। দুই মিনিট অপেক্ষা করে টিস্যু দিয়ে চেপে বাড়তি তেল মুছে ফেলুন। এরপর ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগান।

স্বাভাবিকভাবেই ছেলেদের ত্বক কিছুটা রুক্ষ হয়ে থাকে। তাই বিয়ের আগে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার স্ক্রাব করুন। গ্লিসারিন, সাইট্রিক এসিড, এগুলো ছেলেদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটি ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ আর উজ্জ্বল।

চাইলে ঘরেও স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। চালের গুঁড়া, বেসন, মুলতানি মাটি একসঙ্গে মিশিয়ে দুধ বা টক দইয়ে গুলে নিলে তৈরি হয়ে যাবে হারবাল স্ক্রাব। প্রতিদিনের নিয়মে ত্বক পরিষ্কার করে তারপর ত্বক স্ক্রাবিং করুন। ত্বকে স্ক্রাব লাগিয়ে আঙুলের ডগার অংশ দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। সার্কুলার মুভমেন্টে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর মুখ মুছে ত্বক ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগান।

মনে রাখবেন, স্ক্রাবিংয়ের পর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রোদে যাওয়া যাবে না। তাই রাতের বেলাই স্ক্রাবিংয়ের উপযুক্ত সময়। ছুটির দিনে গোসলের আগে মুখের মতো সারা শরীরের ত্বক স্ক্রাবিং করুন।

বিয়ের দিন অবশ্যই পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। সুন্দর কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করতে ভুলবেন না বিয়ের রাতে।

চোখ

চোখের নিচে কালোভাব দূর করতে এবং সতেজ ও প্রাণোচ্ছল ভাব আনতে আলু বা শসা থেঁতো করে চোখের ওপর দিয়ে ৩০ মিনিট শুয়ে থাকুন। ব্যবহৃত টি-ব্যাগ ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখেও চোখের ওপর দিলে উপকার পাওয়া যাবে।

ছেলেদের বিয়ের প্রস্তুতি তে ঠোঁটের যত্ন

ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে কাঁচা দুধ তুলায় নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আলতো করে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে দুধের সর ও চিনি দিয়ে প্রতিদিন মাত্র দুই মিনিট ম্যাসাজেও চমৎকার ফল পাবেন।

বিয়ের আগে এক্সারসাইজ

ছেলেদের বিয়ের প্রস্তুতি তে এক্সারসাইজ খুবই জরুরী। নারীরা আত্মবিশ্বাসী ও সুঠাম দেহের জামাই পছন্দ করে। তাই দুই মাস আগে থেকে ব্যায়াম করতে পারেন। তবে শুরুতেই খুব বেশি আর খুব কঠিন এক্সারসাইজে যাবেন না। গায়ে ব্যথা ছাড়াও ছোটখাটো চোট-আঘাতও আসতে পারে। তাই অল্প অল্প করে এক্সারসাইজের সময় আর তীব্রতা বাড়ান। শুরু করতে পারেন বডি ওয়েট এক্সারসাইজ দিয়ে। স্কোয়াট, লাঞ্জেস, পুশ আপ, হরাইজন্টাল পুল আপ এসব এক্সারসাইজ কৌশল শিখে নিন। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই নিয়ম মেনে জোরে হাঁটুন বা দৌড়ান।

ছেলেদের বিয়ের প্রস্তুতি তে খাদ্যাভাসের গুরুত্ব

বেশীরভাগ ছেলেরা নিজেদের শরীর নিয়ে বেশ উদাসীন থাকেন। তবে বিয়ের আগে ছেলেদের একটা সঠিক খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনে নিয়মতান্ত্রিক হওয়া জরুরি। তাই এমন খাবার তালিকায় রাখতে হবে, যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন লেভেলকে প্রমোট করে, ফার্টিলিটি বাড়ায় ও সার্বিকভাবে দেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। দেহ সুস্থ থাকলে যেমন মনও ভালো থাকে, তেমনি সুস্থ দেহ সঠিক এনার্জি এনে দেয়, যা বিয়ের সময়কার চাপ থেকে নিজেকে স্বাভাবিক রাখে।

বিয়ের আগের এই সময়টুকু সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে খুব সহজেই ফিট হতে পারেন। এর জন্য মাসখানেক আগে থেকে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যোগ করতে হবে কিছু খাবার, যা সহজপাচ্য ও সহজলভ্য।

কলা

কলায় বিদ্যমান ভিটামিন-বি৬, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করে ও শরীরকে করে তোলে শক্তিশালী ও সজীব।

রসুন

রসুনে রয়েছে এলিসিন নামক পদার্থ, যা রক্ত প্রবাহকে সঠিক রেখে শরীরকে সজীব করে তোলে।

পালংশাক

পালংশাকের ফলিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তনালীর সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।

তরমুজ ও বিট

ফলের মধ্যে তরমুজ ও বিট দাম্পত্য জীবন সুখী করার জন্য জাদুকরি ভূমিকা রাখে। এতে বিদ্যমান লাইকোপিন ও বিটা-ক্যারোটিন রক্তনালির সুস্থতা বজায় রাখে এবং অল্প ক্যালরির হওয়ায় ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কম।

এই সময় তেল-চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। এক বাটি টক দই রাখুন প্রতিদিনের খাবারে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে চেষ্টা করুন তা পরিহার করার।

স্ত্রী জন্য উপহার কিনে রাখুন

বিয়ের রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। আর তাই এই রাতটিকে আরো বেশি রোমান্টিক ও স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্ত্রীর জন্য বিশেষ কোনো উপহার কিনে রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে হীরের আঙটি অথবা ছোট কোনো ফটোফ্রেমে বন্দী করা নিজেদের প্রিয় কোনো মূহূর্তের ছবি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট/বড় যা খুশি উপহার দিন। নতুন জীবনের শুরুতেই আপনার এই ছোট্ট ভালোবাসা আপনার স্ত্রীকে মুগ্ধ করবে।

সঙ্গীকে মানসিকভাবে সহায়তা করুন

বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই বিয়ের রাতেই শারীরিক মিলনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে পারেন না। তাই তাঁরা স্বামীর কাছ থেকে মনে মনে এই ব্যাপারে একটু সহযোগীতা আশা করেন। বিয়ের রাতেই তাই স্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে জোর করবেন না। তাকে যথেষ্ট পরিমাণে মানসিকভাবে সহায়তা করুন। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা একটু সহজ হওয়ার আগেই শারীরিক মিলনের ব্যাপারে জোর করলে সম্পর্কটা সাড়া জীবনের জন্য তেঁতো হয়ে যেতে পারে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

যেহেতু বাংলাদেশের অনেক নারীই জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানেন না এবং সেই ব্যাপারে খুব একটা সহজও না। তাই বিয়ের রাতে আপনার স্ত্রী উপর নির্ভর করবেন না জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি গ্রহণ করবেন সেটা আপনাকেই ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে আপনাকেই।

যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, ছেলেদের বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে বিয়ের আগে সময় রাখুন নিজের জন্য। খুঁটিনাটি সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে না নিয়ে কিছু কাজ দায়িত্বশীল কয়েকজনকে ভাগ করে দিতে পারেন। নিজেকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। মেয়েরা কিন্তু আত্মবিশ্বাসী পুরুষই বেশি পছন্দ করেন৷ তাই বিয়ের আগের থেকেই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন৷ সেই সঙ্গে বিয়ে নিয়ে অহেতুক ভীতিও মন থেকে মুছে ফেলুন৷

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, সেবা, এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com

8 COMMENTS

  1. Case manager will help you with budget friendly treatment plan, online consult with doctor, visa, airport transfers, hotel bookings, interpreters and more can i buy priligy in mexico Koninckx PR, Barlow D, Kennedy S 1999 Implantation versus infiltration the Sampson versus the endometriotic disease theory

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here