বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা গেছেন বেশ কিছুদিন হলো। তাঁর মৃত্যুর পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিলো তা হচ্ছে ‘ডিপ্রেশন’। কেউ একজন ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার কথা বললে খুব সহজেই আমরা যা বুঝি তা হলো মন খারাপ থাকা বা দুঃখে থাকা। কিন্তু আসলেই কি বিষণ্ণতা মানে শুধুই মন খারাপ? শুধুই কি দুঃখে থাকা?
ডিপ্রেশন আসলে কি?
কমবেশি আমাদের সবার জীবনেই আঘাত আসে। অনেকে সে আঘাত কাটিয়েও উঠি। কিন্তু কিছু আঘাত আমাদের এত বেশি কষ্ট দেয় যে সেটা আমরা ভুলতে পারিনা। একধরণের শূণ্যতা আমাদের গ্রাস করে। একসময় শূণ্যতাবোধ এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে নিজের জীবনকে সম্পূর্ণ নিরর্থক মনে হয়। কারো কারো জন্য এটা ক্ষণস্থায়ী হলেও, কিছু মানুষ এই অনুভূতিগুলি দীর্ঘ সময় ধরে তীব্রভাবে অনুভব করে থাকে – হতে পারে সপ্তাহ, মাস কিংবা বছরের জন্য এবং কখনও কখনও আপাত কোন কারণ ছাড়াই ।
তাই ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা শুধুই সাময়িক দুঃখ বা মনখারাপ নয়। বরং এটি একটি বোধ যা আমাদের করুণ পরিণতি ডেকে আনে, নিঃশেষ করে দেয় তিলে তিলে।
বাস্তবতা হচ্ছে, ডিপ্রেশন যে একটা রোগ এদেশে ৮০% মানুষই সেটা বোঝে না। অথবা বুঝলেও তা স্বীকার করতে চায় না। বর্তমান সময়ের মানসিক এই ব্যাধি ধীরে ধীরে মন থেকে বিস্তার লাভ করে, যার প্রভাব আমাদের কাজের ওপরও পড়ছে। যত দিন যাচ্ছে মানুষের মুখে ডিপ্রেশনে থাকার অভিজ্ঞতার কথা তত বেশি শুনতে পাচ্ছি।
ভয়াবহ মানসিক ব্যধি
সারা বিশ্বে জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি। এর মধ্যে ৩৫০ বিলিয়ন মানুষ “ডিপ্রেশন” নামের এক জটিল এবং ভয়াবহ মানসিক অবস্থায় আক্রান্ত।
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
২০১৫ সালের এক জরিপে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক এবং যুবকদের মাঝে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ জীবনে অন্তত একবার ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছেন। যা সে দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
সম্প্রতি সারা বিশ্বে পরিচালিত আরেক জরিপে দেখা যায় যুবতি এবং বয়স্ক মহিলাদের (বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছর) মাঝে ডিপ্রেশনের হার সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীর মোট ডিপ্রেশনের রোগীর প্রায় ১২ দশমিক ৩ শতাংশ এই দুই শ্রেণির।
বাংলাদেশ নারী সংগঠনের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪,৭৪৭ জন নারী শুধু মাত্র শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের দরুন আত্মহত্যা করেছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার একটি রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসে ১৫৮ জন নারী এবং ১০০ জন পুরুষ আত্মহত্যা করে।
আগে একটি ধারণা ছিল, সাধারণত বয়স্কদের এ রোগ হয়। কিন্তু এ ধারণা এখন আর টিকছে না। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে সাধারণত এ রোগ বেশি হয়।
ডিপ্রেশন কেন হয়?
ডিপ্রেশন কেন হয় তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। অতিরিক্ত স্ট্রেস, ঘুম না হওয়া, ভবিষ্যতের নিয়ে দুশ্চিন্তা, চাকুরী চলে যাওয়া, কাজে বার বার ব্যর্থ হওয়া, কমপ্লিকেটেড রিলেশনশীপ, কাছের মানুষের আকস্মিক মৃত্যু, সামাজিক নিরপত্তাহীনতা, মানসিক বা শারীরিকভাবে অবমাননার স্বীকার হলে একজন মানুষ ডিপ্রেসড হয়ে পড়েন।
আর বর্তমানে আরেকটা বড় কারণে মন বড় খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায়ও নেই। ফলে সারাক্ষণ বাড়িতে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অবসাদ যেন আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে, সঙ্গে তৈরী হচ্ছে ক্লান্তি এবং খিদে কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও।
ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তি এতটাই হীনমন্যতায় ভোগে যে কাউকে কিছু বলতে পারে না। ফলে তার দৈনন্দিন কাজে ছন্দের ব্যাঘাত ঘটতে থাকে, খাপছাড়া ভাব দেখা যায়, কারো সাথে কথা বলতে চায় না কিংবা কমিয়ে ফেলে, হাসিখুশি দেখা যায় না অথবা বাইরে যেন কেউ বুঝতে না পারে মিথ্যে হাসির অভিনয় করে, ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরে বিভিন্ন রোগ জন্মাতে থাকে। অনেকসময় একেবারে মানসিক রোগী বা পাগল হয়ে যায়।
ডিপ্রেশন এর কিছু সাধারণ লক্ষণ
- দিনের বেশীরভাগ সময় মেজাজ খিটখিটে থাকা
- যেকোনো কাজে নিরুৎসাহিত হওয়া বা অসহায় বোধ করা
- নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া
- সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অনুভব করা
- সবসময় অস্থিরতা বা বিরক্তি।
- ক্ষুধা কমে যাওয়া বা বেশি খাওয়া, ওজন কমে যাওয়া
- স্বাভাবিকভাবেই জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, আত্মহত্যা বা নিজের- ক্ষতি করার চেষ্টা
- এছাড়া কিছু শারীরিক উপসর্গ যেমন হাত পা জ্বালা পোড়া করা, কান দিয়ে গরম ধোয়া বের হওয়ার অনুভূতি কিংবা ভীষণ মাথা ধরা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
যেকোন মূহূর্তে ডিপ্রেশন গ্রাস করতে পারে আপনাকেও। তাই আগেই জেনে নিন ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু টিপস-
রিল্যাক্সিং মিউজিক
মিউজিক হচ্ছে এমনি জিনিস যা আপনার মেজাজকে নিমেষের মধ্যে একদম বদলাতে পারে | মিউজিক শুনলে আমাদের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে রিল্যাক্স হতে শুরু করে। ডিওপ্রশনে থাকলে ডেইলি ৩০ মিনিট যেকোনো ধরনের রিল্যাক্সিং মিউজিক শুনুন। সহজেই ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠবেন। ইউটিউবে হাজারো আপবিট বা রিল্যাক্সিং সিউজিক পাবেন।
তবে একটা বিষয়, মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হলে যে কারো মাঝেই দুঃখের গান শোনার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু সুস্থ হতে চাইলে এ ধরনের প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। কারণ বিষাদের গান শুনলে আপনার জন্য দুঃখের স্মৃতিগুলো ভোলা কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং অবসাদের সময় সুখের গান শুনুন। এতে দেখবেন আপনার দিনগুলো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
পজিটিভ থাকুন
ডিপ্রেশনে যত নেতিবাচক চিন্তা ভাবনাই আসুক আমাদের সবার আগে নিজেদের মাঝে আলো জ্বালাতে হবে। নিজের মধ্যে থেকেই ইতিবাচকতা খুঁজে বের করতে। সব সময় খারাপ চিন্তা ,খারাপ মনোভাব নিজে থেকে দূরে রাখুন। চেষ্টা করুন ,নিজের ভিতর চিন্তার পরিবর্তন আনার ।এতে করে আপনি ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবেন এবং ডিপ্রেশন থেকে দূরে থাকবেন।
নিজের যত্ন নিন
মন খারাপ হলে ভালো কোন স্যালন এ গিয়ে নিজের রেগুলার লুকটাকে কিছুটা চেঞ্জ করুন, হতে পারে সেটি হেয়ার কাট, হেয়ার কালার অথবা সেগুলো না চাইলে একটি ভালো ফেশিয়াল বা স্পা! অথবা চাইলে পরিবর্তন করতে পারেন পোষাকও। উজ্জ্বল রঙকে প্রাধান্য দিন, পছন্দের ড্রেসটিকেও, ভালো লাগবে।
নিজেকে যথেষ্ট সময় দিন
একা একা থাকা ডিপ্রেশন মুক্তির সমাধান নয়। যত একা থাকবেন ততই ডিপ্রেশন বাড়বে। বিষন্নতায় একা থাকার চেয়ে বরং তাদের সাথে সময় কাটান যাদের সাথে আপনার থাকতে ভাল লাগে অথবা যাদের সাথে কথা বলে আমরা আনন্দ পান। অনেক বন্ধুমহলই থাকে যাদের সাথে কখনো মন খারাপ করে থাকা যায় না বরং সেখানে সব সময় হাসি-ঠাট্টা হয়। এমন বন্ধুমহলের সাথে সময় কাটালে তা আপনার সময় এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করবে। আপনজনদের সাথে গল্প গুজব করাটিও মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট।
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুন
মন ভালো করার জন্য স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা আবশ্যক। মন খারাপ থাকলেই প্রকৃতির কাছে যান, বুক ভরে নিশ্বাস নিন। দূরে কোথাও ঘুরতে যান, রোমাঞ্চকর কিছু করুন । দেখবেন যখন আপনি মজার কিছু নিয়ে উত্তেজিত থাকবেন, মন খারাপ দৌড়ে পালাবে! পাহাড় ভালোবাসেন? ট্রেকিং করার সুযোগ থাকলে করে আসুন । মাঝে মধ্যে কোন এমিউজমেন্ট পার্কে সময় কাটিয়ে আসুন, সময় ভালো কাটবে।
ভালো লাগার কাজগুলো করুন
ডিপ্রেশনে আমাদের সেই কাজ গুলো করা উচিত যা আমাদের আনন্দ দেয়। কাজগুলো হতে পারে, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, বই পড়া, সিনেমা দেখা, গান শোনা, রান্না করা বা যে কোন কাজ। এ সময় ছবি তুলুন, ছবি আঁকুন। সবসময় সুন্দর কিছু করার চেষ্টা করুন, ডিপ্রেশন কমবে। সাজুগুজু করুন, এতে মনে প্রশান্তি আসবে। কোনো বাদ্যযন্ত্র বা নতুন কোনো ভাষা শেখা, রান্না করা কিংবা যা মনকে আনন্দ দেয় তাই করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মনকে সতেজ রাখতে যোগব্যায়াম, খালি হাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটাও বেশ ভালো ব্যায়াম। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত একজন মানুষের উপকার করুন। দুঃস্থ, অসহায় কোন মানুষের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান ও তাকে সাহায্য করুন। তার অবস্থা মন থেকে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন প্রশান্তিতে মন ভরে উঠেছে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
মন খারাপের সময়টাতে নিজে ভিন্ন কিছু রান্না করুন অথবা চলে যান ভালো রেস্টুরেন্টে , তাদের স্পেশাল বা আপনার জন্য নতুন এমন কোন একটি আইটেম ট্রাই করে দেখুন। দেখবেন ভালো খাবার আপনাকে অনেকখানি প্রশান্তি দিচ্ছে। সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মেলে। বাড়িতে নিয়মিত শাক-সবজি, ফলমূল বা ফলের জুস খান। ক্যাফেইন এবং মদ জাতীয় পানীয় থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন
পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম ডিপ্রেশন কমায়। তাই পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন আজ থেকে | প্রতিদিন ঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। দিনের বেলার হালকা ঘুমের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শোবার ঘর থেকে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল এগুলো সরিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার
ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জারে সারাদিন পড়ে থাকা আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানেনা। অন্যের জীবন দেখে প্রতিরোধ ও হতাশায় ডুবে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এমনভাবে ব্যবহার করুন যাতে এমন কিছু ঘটনা আপনার জীবনে হতাশা নিয়ে না আসে।
নিয়মিত প্রার্থনা করুন
সাইকোলজিস্টদের মতে, বিষন্নতায় নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন, নিজের বিশ্বাসকে শক্ত করুন তাহলে মানসিক শক্তি খুঁজে পাবেন। আপনি মুসলমান হলে নিয়মিত নামায পড়ুন, পবিত্র কুরআন তিলওয়াত করুন, এতে মনে প্রশান্তি আসবে। অন্য ধর্মের অনুসারী হলে সে অনুযায়ী প্রার্থনা করুন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি আস্থা রাখুন। যতটুকু সম্ভব অসহায়, দুস্থদের সাহায্য করুন। দান খয়রাত করুন।
সন্তানের খেয়াল রাখুন
নিজের সন্তানকে ডিপ্রেশনে ভুগতে দেখলে তাকে সময় দিন। তার কোনো সমস্যা আছে কিনা বা হচ্ছে কিনা তা জানার চেষ্টা করুন কিংবা জানতে না পারলে তা খুঁটিয়ে বের করুন। আপনার সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন যাতে তারা যেকোনো সমস্যা কোনো সংকোচ ছাড়াই শেয়ার করতে পারে।
ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষামূলক, গবেষণামূলক, ভ্রমণবিষয়ক, মহৎ ব্যক্তিদের আত্মজীবনীমূলক বই, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া, ইত্যাদি পড়তে উৎসাহ দিন। ছেলেময়েদের অযথা মারধোর করবেন না। তারা যদি ভুল করে তাহলে সংশোধন করতে সুযোগ দিন যেন পরবর্তীতে এমন ভুল না করে।
যদি আপনার বন্ধুমহলের কাউকে ডিপ্রেশনে ভুগতে দেখেন তাহলে কারণ জানার চেষ্টা করুন। তার কথাগুলো হেসে উড়িয়ে দেবেন না। সে ভয়ে লজ্জায় আরো ডিপ্রেশনে চলে যাবে। বরং তাকে সান্ত্বনা দিন। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তার পাশে এসে দাঁড়ান।
ধৈর্য্য ধারণ করুন
ডিপ্রেশনে থাকলে সবসময় মনের মধ্যে কাজ করে অস্থিরতা। মন চায় যেকোন সমস্যার তাৎক্ষণিক দ্রুত সমাধান। ডিপ্রেসড থাকলে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে হবে তা হল ধৈর্য্য ধারণ। পৃথিবীতে সব কিছুর সমাধান আছে এবং সব কিছুই আয়ত্বে এসে যায়। কাজেই সে সময়টুকু পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস আর ধৈর্য ধারণ করে সামনে আগাতে হবে। মনে রাখবেন আমাদের বিষন্নতা একবারে যাবে না। একে একেবারে তাড়িয়ে দেবারও চেষ্টা করবেন না। ধীরে ধীরে মানসিক শান্তি পেলে বিষন্নতাও কমে যাবে।
আমাদের করণীয়
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় খুঁজলে বেশির ভাগ সময় আমরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেই। আত্মহত্যা বা সুইসাইডও বর্তমানে একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন মানুষ যখন আত্মহত্যা করে তখন তাকে আমরা নানাভাবে বিচার করা শুরু করে দেই। সবচেয়ে কমন কথাটা হলো তাকে ভীতু বলি। আমরা বলি তার দুঃখকে মোকাবেলার ক্ষমতা নেই। একটা কথা মাথায় রাখবেন, মানুষ মানুষের জন্য। তাই কারো বিপদে এগিয়ে আসুন, সমস্যা সমাধান করার জন্য সহযোগিতা করুন, ডিপ্রেশন থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.
mexican rx online: Online Pharmacies in Mexico – mexico drug stores pharmacies
online shopping pharmacy india https://indiaph24.store/# reputable indian online pharmacy
best online pharmacy india
cheapest online pharmacy india http://indiaph24.store/# reputable indian online pharmacy
Online medicine order
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?
I don’t drop a bunch of remarks, but i did a ffew ssearching and wound up here ডিপ্রেশন কি?
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি?.
And I actualoly do have 2 questions for you if it’s allright.
Is it only me or does it look as if like a few of these remarks look as if they are left by brain dead folks?
😛 And, iif you are writing onn other sites, I’d likje to follow anythinng new
you have to post. Would you list of every one of
your communal sites like your twitter feed, Facebook page or linkedin profile? http://Boyarka-inform.com/
Thanks a lot for the article.Really looking forward to read more. Really Great.
Utterly indited subject material, Really enjoyed examining.
My brother suggested I might like this blog.He was totally right. This post truly made my day.You cann’t imagine just how much time I had spent for this information! Thanks!
That is definitely sort of uncommon, but focus on that.
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
do over the counter ed pills work – bellingham erectile dysfunction treatment options ed pills for heart patients
I read this post completely regarding the resemblance of newest and earlier technologies,it’s awesome article.
Aw, this was an extremely good post. Finding the time and actual effort to produce a top notch article… but what can I say… I put things off a lot and never manage to get anything done.
Enjoyed every bit of your article. Much obliged.
I appreciate you sharing this post.Really thank you! Really Great.
Im grateful for the article post. Great.
When I originally commented I clicked the “Notify me when new comments are added” checkbox and now each time a comment is added I get four emails with the same comment. Is there any way you can remove me from that service? Cheers!
A round of applause for your blog post.Thanks Again. Awesome.
I do not even know how I finished up right here, but I believed this put up was good.I do not understand who you are but certainly you are going to a well-known blogger when youaren’t already. Cheers!
whoah this blog is wonderful i really like reading your posts. Stay up the great work! You understand, lots of people are hunting around for this information, you can aid them greatly.
hello!,I like your writing so much! proportion we keep in touch more approximately your article on AOL? I need an expert in this house to solve my problem. May be that is you! Having a look forward to peer you.
Very efficiently written story. It will be beneficial to anyone who employess it, including yours truly :). Keep doing what you are doing – can’r wait to read more posts.
Greetings! Very useful advice in this particular post! It’s the little changes that will make the most important changes. Thanks a lot for sharing!
Thanks-a-mundo for the post.Thanks Again. Really Great.
Hi! I simply would like to offer you a huge thumbs up for your great information you have right here on this post. I’ll be returning to your blog for more soon.
Thanks for any other excellent post. Where else mayjust anybody get that kind of information in such an ideal means of writing?I’ve a presentation subsequent week, and I am on the search for such information.
Thanks for another great article. The place else may just anybody get that type of information in such a perfect way of writing? I have a presentation subsequent week, and I am at the look for such info.
A round of applause for your blog post.Really looking forward to read more. Want more.
Hi, I would like to subscribe for this blog to obtain most recent updates, therefore where can i do it please help.
Hello my friend! I want to say that this post is amazing, great written and come with approximately all vital infos. I’d like to see extra posts like this.
You can definitely see your skills in the article you write.The world hopes for more passionate writers like you whoaren’t afraid to say how they believe. At all times follow your heart.
Thanks for sharing, this is a fantastic blog article.Much thanks again. Cool.
Major thankies for the article.Really looking forward to read more. Great.
Really enjoyed this article post.Really looking forward to read more. Cool.Loading…
I am so grateful for your post.Much thanks again. Really Cool.
fantastic points altogether, you just received a brand new reader.What could you suggest about your publish that you made a few daysin the past? Any positive?
online gambling online gambling online slots
This is my first time pay a quick visit at here and iam truly impressed to read everthing at one place.
Thanks for sharing, this is a fantastic article.Thanks Again. Really Great.
Hey, thanks for the blog article.Really looking forward to read more. Really Great.
I am so grateful for your article.Really thank you! Really Great.
Really informative article.Much thanks again. Will read on…
Thanks for sharing, this is a fantastic post.Really thank you! Awesome.
Thanks-a-mundo for the blog article. Really Cool.
I really like and appreciate your blog post. Really Cool.
I’m not sure where you’re getting your information, but good topic. I needs to spend some time learning more or understanding more. Thanks for fantastic information I was looking for this information for my mission.
broad ripple apartments roanoke apartments