দাম্পত্য সম্পর্কটা অন্যান্য সব সম্পর্ক থেকে অনেকটাই আলাদা। দাম্পত্য সম্পর্ক এর মাঝে যেমন পারস্পরিক বোঝাপড়াটা থাকা দরকার, তেমনই থাকা দরকার বন্ধুত্ব। এটা খুব ঠুনকো নয়, যে একটু ঝড়ো বাতাসেই তা ভেঙে যাবে। দাম্পত্য সম্পর্ক কে মজবুত করতে চাইলে কিছু বিশেষ অভ্যাস রপ্ত করা অবশ্যই প্রয়োজন। এই ছোট্ট কাজগুলো করার বিশেষ অভ্যাস দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ আর সেই সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি বিরক্তি দূর করে ফেলে খুব সহজেই।
জেনে নিন দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর করে তোলার সেই বিশেষ অভ্যাসগুলো কি?
দাম্পত্য সম্পর্ক এ ‘ভালোবাসি’ বলুন
আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক যতদিনের পুরোনোই হোক না কেন প্রতিদিনই সঙ্গীকে একবার করে আপনার ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। আসলে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিলে সম্পর্ক কখনোই পুরনো হয়না। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরে, অফিস থেকে ফেরার পরে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত একবার সঙ্গীকে ‘ভালোবাসি’ বলুন। দিনের শুরুতে অথবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সঙ্গীকে ভালোবাসি বলাটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ।”
একে অন্যকে শ্রদ্ধা করুন
দাম্পত্য সম্পর্কে বর্তমানে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো পরস্পরের প্রতি সম্মানের অভাব। একটা সম্পর্কে ভালোবাসা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ একজনের প্রতি আরেকজনের শ্রদ্ধাবোধ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই উচিৎ একে অপরকে মানুষ বা বন্ধু হিসেবে শ্রদ্ধা করা। শ্রদ্ধাবোধ যে কোন সম্পর্ককে আরও নতুন মাত্রা দেয়। তাই আপনার কথাবার্তা ও কাজে সঙ্গীর প্রতি আপনার শ্রদ্ধাবোধ ফুটিয়ে তুলুন। কখনো এমন কোন কথা বলবেন না বা কাজ করবেন না যা তার আত্মসম্মানে আঘাত করে।
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরস্পরকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। একে অন্যের পছন্দ, মতামত, ভালোলাগাকে গুরুত্ব দিন। আপনার সঙ্গীর মানসিকতা আপনার মতোন নাও হতে পারে। কিংবা আপনার সঙ্গী আপনার মতামতকে সমর্থন নাও দিতে পারে। তাই জোর করে একতরফা কোন সিদ্ধান্ত তার ওপরে চাপিয়ে দিতে যাবেন না। সঙ্গীর ভিন্নমতকে মানিয়ে নিন, আলাপ করুন। নিজের কথা প্রকাশ করুন এবং দুজনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেকোন সিদ্ধান্ত নিন।
দাম্পত্য সম্পর্ক এ হাসুন প্রাণ খুলে
সুস্থ সুন্দর একটা দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য নিজেদের প্রতিদিনের জীবন যাপনের কাজ থেকে একসাথে তৃপ্ত হওয়ার এবং হাসার উপাদান খুঁজে বের করে নিন। পুরনো স্মৃতি খুঁজে বের করুন কিংবা নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া কোন মজার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করুন। জীবনকে একঘেয়ে করে ফেলবেন না। একা একা নয় বরং দুজন মিলে এক সাথে আনন্দ করুন। মাঝে মাঝে বন্ধুদের দাওয়াত দিয়ে পার্টির আয়োজন করতে পারেন, দুজনে মিলে কম্পিউটার গেমস খেলতে পারেন আর সুযোগ পেলেই ঘুরে আসতে পারেন দূরের কোনো সুন্দর যায়গা থেকে। দাম্পত্য সম্পর্কে নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত দুনিয়ায় কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না। কিছু ব্যাপার কেবল নিজেদের মাঝেই রাখুন।
সারপ্রাইজ দেয়ার অভ্যেসটা থাকুক
দাম্পত্য জীবনে সারপ্রাইজ ম্যাজিকের মত কাজ করে। সারপ্রাইজ হতে পারে চিরকুটে লেখা রোম্যান্টিক ম্যাসেজ, গোলাপ অথবা চকোলেট উপহার দেওয়া। তাছাড়া সঙ্গীর পছন্দের খাবার রান্না, তার জন্মদিন, দুজনের দেখা হবার দিন, বিবাহবার্ষিকী বা ভালোবাসা দিবস সহ যে কোন দিবসে সঙ্গীর পছন্দের জিনিস উপহার দিয়ে তাকে চমকে দিতে পারেন। এই ছোট ছোট চমকগুলোই আপনাদের সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করবে।
জীবনসঙ্গীর সাথে সবসময় সিরিয়াস মুড নিয়ে থাকবেন না। মাঝে মধ্যে আহ্লাদ করুন। অনেকেই মনে করেন, প্রেম থেকে বিয়ে হয়ে গেলে আর আহ্লাদ মানায় না। এটি ভুল ধারণা। জীবনসঙ্গীকে আহ্লাদী ম্যাসেজ দিতে পারেন অথবা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর একটু খুনসুটি, একটু আহ্লাদ করতে পারেন। এতে দাম্পত্য সম্পর্ক চাঙ্গা থাকবে।
দাম্পত্য সম্পর্ক এ সঙ্গীকে স্পেস দিন
ভালোবাসা মানে সবসময় কাছে থাকা নয়, মাঝে মধ্যে দূরে যাওয়াও। তাই মাঝে মধ্যেই একান্তই নিজের জন্য একটু সময় আলাদা করে রাখুন আর সঙ্গীকেও সুযোগ দিন একটু তার নিজের মত করে সময় কাটাবার। আপনার সঙ্গী যদি বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে চায় তাহলে রাগ করবেন না। কারণ বন্ধুরাও জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিয়ে হওয়ার আগে আপনার সঙ্গী তার বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়ে এসেছেন। তাই বাধা না দিয়ে ওই সময়টায় আপনিও আপনার বন্ধুদের সাথে দেখা করে আসুন। পারলে আপনার বন্ধুদের সাথে ভালোভাবে মেশার চেষ্টা করুন, নিজেকেও তাদের বন্ধু বানিয়ে নিন। দাম্পত্য এই একটুখানি স্পেস কাছে আসাকে আরও আকর্ষণীয় করে রাখে।
কিছু সময় কাটুক একান্তে
ছুটির দিনগুলোতে তাকে সঙ্গে নিয়ে আড্ডা দিতে পারেন। অফিস আর কাজের ব্যস্ততায় দিনে তিন বেলা না হলেও একটা বেলা অবশ্যই একসঙ্গে খাবার খান, সুযোগ থাকলে এক প্লেটে খান, এটি আমাদের নবীজীর সুন্নত। মাঝে মধ্যে খাবারের শেষ অংশটুকু সঙ্গীকে নিজের হাতে খাইয়ে দিন। খাওয়া শেষ করেই সরাসরি বিছানায় না গিয়ে দুজন মিলে বাইরে থেকে একটু হেঁটে আসুন অথবা ছাদে কিংবা বেলকনিতে দুজন মিলে সময় কাটান।
অনেক সময় খুব সাধারণ স্পর্শ কিংবা আলিঙ্গন হতে পারে অনেক বড় উপহার। সারাদিন অফিস শেষে দেখা হলে আপনার সঙ্গীকে আলিঙ্গন করুন। সম্পর্কের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকলে নিমেষেই তা উধাও হয়ে যাবে। সঙ্গীর জন্য আপনার অনুভূতির সবকিছুই না বলা সামান্য এক আলিঙ্গনে বলা হয়ে যেতে পারে। ছুটির দিনের সময়টা সুন্দর করতে দুজন মিলে রান্নাটা সেরে নিন। এতে খাবারের স্বাদের পাশাপাশি আপনাদের সম্পর্কেও স্বাদও মধুর হয়ে উঠবে। এই সুন্দর অভ্যাসগুলোই আপনাদের সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত করে দেবে।
ভালো কিছু কাজের অভ্যাস করুন
দিন শেষে দুজনে একই সাথে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যেসটা করুন। দেখবেন গল্প আর ভালোবাসার মিষ্টি মিষ্টি কথায় ঘুমানোর আগের সময়টা বেশ ভালো কাটবে দুজনের। এছাড়া আপনার সঙ্গীর শখ গুলোর প্রতি আগ্রহ দেখান। এতে আপনার সঙ্গীও আপনার শখ গুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। একে অন্যের অবসরের সময়গুলো ভাগ করে নেওয়া, একসাথে কাটানো, পছন্দের সিনেমা একসাথে দেখা- এই অভ্যেসগুলোর মাঝেও সম্পর্কের ভিত গভীর হয়। আর অবশ্যই আপনার সঙ্গীর যেকোন কাজেন প্রশংসা করুন।
ভালো শ্রোতা হকে চেষ্টা করুন। যখন দুজন কথা বলবেন বা কোনো বিষয়ে আলাপ করবেন তখন আপনি আপনার সঙ্গীর কথা না শুনতে চাইলে তিনি ভাবতে পারেন আপনি তাকে এড়িয়ে চলছেন। তাই একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে করে তিনি নিজেকে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। এতে সম্পর্কটা আরো সুন্দর হবে। সেই সঙ্গে কেটে যাবে সম্পর্কের একঘেয়েমি।
দাম্পত্য সম্পর্ক এ শারীরীক সম্পর্কে নতুন মাত্রা
দীর্ঘদিন একসাথে থাকলে শারীরিক আকর্ষণটা ধীরে ধীরে কমে যায়, একটা পর্যায়ে গিয়ে সম্পর্ক হয়ে দাঁড়ায় প্রেম ও যৌনতা বিহীন একটা বস্তু। দাম্পত্য সম্পর্কের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই যৌন জীবনের প্রতি গুরুত্ব দেন না। সুস্থ একটি দাম্পত্য সম্পর্ক ধরে রাখতে চাইলে যৌন জীবনে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ভালোবাসার মানুষটির চোখে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নিজেকে সাজিয়ে রাখলে সঙ্গী আপনার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবেন। মনে রাখবেন যৌনতা মানে শুধু একজনের আনন্দ নয়, বরং দুজনেই সমান সুখী হচ্ছেন না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা। নিজেদের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন, বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে দাম্পত্যকে করে তুলুন আনন্দময়। যৌন জীবন আনন্দময় থাকলে দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই অটুট থাকবে।
দাম্পত্য সম্পর্ক এ কথা বলুন খোলাখুলিভাবে
দাম্পত্য সম্পর্কে কোন সংকট তৈরি হলে আমরা কথা বলা বন্ধ করে দেই। এটা করবেন না। যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যায় সঙ্গীর সাথে কথা বলুন। নিজের অভিমান, নিজের রাগ, নিজের কষ্টের কথা সঙ্গীকে জানান। সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে বড় হয়ে ওঠা দুজন মানুষের একজনের লাইফস্টাইল আরেকজনের পছন্দ না হতেই পারে। ভেতরে ভেতরে সেটা নিয়ে ক্ষোভ কিংবা অসন্তোষ পুষে না রেখে মুখ ফুটে সঙ্গীকে বলুন, তার কোন জিনিসটি আপনার পছন্দ হচ্ছে না। সঙ্গীর যেকোনো ভুল বা সমস্যায় তাকে পরামর্শ দিন। তার পেশা কিংবা তার কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে, শারীরিক কোনো সমস্যায় তাকে বন্ধু হিসেবে পরামর্শ দিন। সম্পর্কে ইতিবাচকতা আনার জন্য দুজন দুজনের পরিপূরক হয়ে উঠুন।
দাম্পত্য সম্পর্ক এ যে কাজগুলো করবেন না
কিছু কিছু বিরক্তিকর অভ্যাস আছে যার কারণে অনেকেরই দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আর একবার সম্পর্ক নষ্ট হলে সেই সম্পর্ক পুনরায় আগের মত হয় না। তাই এ ধরনে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। যেমন- আপনার সঙ্গী কি করছেন বা যাচ্ছেন তা জিজ্ঞেস করা অবশ্যই আপনার কর্তব্য। কিন্তু এটিকে বিরক্তির পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না। আপনাকে বুঝতে হবে কোন আচরণটি আকর্ষণীয় এবং কোনটি বিরক্তিকর।
আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে অন্য কারো সাথে তুলনা করে তার মানসিকতাকে আঘাত করবেন না। কথায় কথায় পুরনো দিনের কথা বলবেন না থাকেন। এই অভ্যাসটি আপনার বর্তমান সম্পর্কের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। যেমন আপনি যদি বলেন- অমুক দিনে তুমি এই কাজটি করেছিলে, তুমি ওই কথাটা বলেছিলে তাহলে এতে করে আপনার ব্যাপারে ভাবনা আসতে পারে, আপনার মনে এখনো পুরনো দিনের বিষয়গুলো রয়ে গেছে। তাই কথায় কথায় অতীত টেনে এনে সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলবেন না। সঙ্গীকে এমন কিছু বলবেন না যাতে তিনি অপমানিত হন। সবসময় কিছু বলার আগে ভেবে বলুন।
কাজের সুবাদে কর্মক্ষেত্রে কিংবা বন্ধুদের সাথে আপনার সঙ্গী ঘনিষ্ঠভাবে মিশতেই পারে। কিন্তু তাই বলে পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত না হয়ে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ কিংবা কোনভাবেই বাজে ব্যবহার করবেন না। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে একে অপরের কাছে স্বচ্ছ থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নিজেকে পরিবর্তন করুন
মানুষের জীবন মানেই নিরন্তর পরিবর্তন। দাম্পত্য এমন একটি সম্পর্ক যেখানে ছোট ছোট সংকট তৈরি হবেই। তাই ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিনই আমাদের জীবনে কোনও না কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে হয়। দাম্পত্য সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ম্যারেজ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
mexican border pharmacies shipping to usa: п»їbest mexican online pharmacies – mexican pharmaceuticals online
indian pharmacy online http://indiaph24.store/# pharmacy website india
indianpharmacy com
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
buying from online mexican pharmacy: mexico pharmacy – mexican pharmaceuticals online
india pharmacy mail order https://indiaph24.store/# top 10 online pharmacy in india
india pharmacy mail order
Very interesting topic, thank you for posting.Leadership
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
Clinical parameters at baseline and at 3 months of treatment with metformin placebo only in the whole study population priligy fda approval
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.
Hello there! Do you know if they make any plugins to assist with Search Engine
Optimization? I’m trying to get my website to rank for some
targeted keywords but I’m not seeing very good gains.
If you know of any please share. Many thanks! You can read similar article here:
Eco wool
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.
Medications commonly used to treat hypertension and congestive heart failure can have detrimental effects on male fertility; however, more research in this area is needed priligy otc The MICs were determined following 48 h incubation in ambient air at 37 C after placing of the E test strips in the plates