4.4/5 - (20 votes)

বিয়ে করা একটি সুন্নতি আমল। তবে সবার ক্ষেত্রে বিয়ের হুকুম এক নয়। বিয়ে করা যুবক-যুবতীদের জন্য ক্ষেত্র ভেদে ফরজ আবার কখনো সুন্নত। তবে কার কখন বিয়ে হবে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কিছু যুবক-যুবতী আছে যাদের বিয়ের বয়স হওয়ার সাথে সাথে ভালো বিয়ের প্রস্তাব পায় আর তাড়াতাড়ি তাদের বিয়ে হয়ে যায়। তবে অনেকেই আছে যারা অনেক বিয়ের প্রস্তাব পায় কিন্তু বিয়ে হয় না। আর কেউ কেউ বিয়ের প্রস্তাব না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। যাদের বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল ও দোয়া রয়েছে। যে আমলগুলো করলে দ্রুত বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল কেন করতে হবে?

দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ্ তাআলা যদি ইচ্ছা না করেন, তাহলে তা কখনোই ঘটবে না। আবার তিনি ইচ্ছা করলে কেউই তা আটকাতে পারবে না। রাসূল (সা) বলেছেন-

’তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ্ তাআলার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়। আল্লাহ্ তাআলার রাস্তায় জিহাদকারী, চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায় এবং ওই ব্যক্তি যে বিবাহ করার মাধ্যমে পবিত্র থাকতে চায়’

যারা তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চান তারা নিচে উল্লেখিত ১০টি আমল নিয়মিত করুন। রাব্বুল আলামিন আপনার জন্য একজন উত্তম জীবনসঙ্গীর ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ্‌

১. দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল- ইস্তেগফার করা

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল হলো সবসময় ইস্তেগফার করা। অর্থাৎ যতটা বেশী সম্ভব ‘আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, আস্তাগফিরুল্লাহ্‌’ পড়া। যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তেগফার করে, তার দোয়া আল্লাহ্‌ তাআলা কখনো ফেরত দেন না। পুরো দোয়াটি হলো-

‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি’

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ্ তাআলা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে

২. সূরা ইয়াসিন পাঠ করা

সূরা ইয়াসিনের সীমাহীন মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যাদের অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না তারা সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে দ্রুত ফলাফল পাবেন। বিয়ে হওয়ার আমল বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। সূরা ইয়াসিনে ৭টি মুবিন রয়েছে। আমল করার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে উঠে তখন পশ্চিমমুখী হয়ে সূরা ইয়াসিন পাঠ করা। আর যখনই ‘মুবিন’ শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখনই শাহাদাত আঙুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করা।

৩. সূরা আদ-দোহা ও সুরা কাসাসের আয়াত পাঠ করা

অনেক আলেমরাই বিয়ে হওয়ার আমল হিসেবে সূরা আদ-দোহা ও সুরা কাসাসের কয়েকটি আয়াত পাঠ করতে বলেন। ওলামায়ে কেরামদের মতে, যদি কোনো ছেলে আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে শীঘ্রই মহান রাব্বুল আলামিন তার জন্য ভালো পাত্রীর ব্যবস্থা করে দেবেন। আর মেয়েরা যদি নিয়মিত সূরা আদ-দোহা ১১ বার পাঠ করে তাহলে তাদের জন্য আল্লাহ্‌ তাআলা সৎ পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন। আয়াতটি হলো-

‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির’

বলা হয় হজরত মুসা (আ) যখন খুব একাকি ও বিষন্নতা অনুভব করতেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। এবং মহান রাব্বুল আলামিন এ আয়াতটি পাঠ করার জন্য  মুসা (আ) এর একাকিত্ব ও বিষন্নতা দূর করে দিয়েছিলেন।

 ৪. সূরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াতটি পাঠ করা

বিয়ে হওয়ার আমল হিসেবে সূরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াতটি পাঠ করলে কাজে দেয়। যাদের বিয়ে হতে দেরী হচ্ছে তারা প্রতিদিন নামাজ আদায় করার পরপর নিয়মিত এ আমলটি করতে পারেন। আয়াতটি পাঠ করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে ১৯ বার বিসমিল্লাহ্‌, ১১০০ বার সুরা তাওবার ১২৯ নং আয়াত, ১০০ বার দুরূদ শরীফ ও শেষে আবার ১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়া। ছেলে-মেয়ে যদি না পারে তাহলে তাদের পিতা-মাতাও এই আমলটি করতে পারেন। আয়াতটি হচ্ছে-

’ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম’

৫. বিয়ে হওয়ার আমল- সূরা মরিয়ম পড়া

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আরেকটি দোয়া হচ্ছে প্রতিদিন যে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করার পর সূরা মরিয়ম তেলাওয়াত করা। যারা বিয়ে করবেন অর্থাৎ ছেলে বা মেয়ে এই আমলটি করতে পারেন। যদি ছেলে- মেয়েরা না পড়ে কিংবা পড়তে না পারে তাদের বাবা-মা বা অভিভাবকরাও পড়তে পারবে।

৬.  দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল- তাসবিহে ফাতেমি পড়া

তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য নিয়মিত নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমি পাঠ করা উত্তম। তাসবিহে ফাতেমি পড়ার আগে কুরআন তেলাওয়াত ও দরূদ পাঠ করা ভালো। তাসবিহে ফাতেমি হলো-

’৩৩ বার সুবহানআল্লাহ্‌, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্‌ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করা’

দিনের যেকোনো সময় দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেও তাসবিহে ফাতেমি পড়া যায়। টানা ৪১ দিন বাদ না দিয়ে এ আমলটি করতে হবে। নিয়মিত তাসবিহে ফাতেমি পাঠ করলে বিয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়া, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়াসহ বিবাহ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্‌।

৭. বিয়ে হওয়ার দোয়া- সূরা মুজাম্মিল পড়া

কোনো মেয়ে যদি বিয়ের বয়স হওয়া সত্ত্বেও বিয়ে না হয় কিংবা বিয়ের জন্য ভালো প্রস্তাব না পায় তাহলে মা-বাবা অথবা অভিভাবকদের যেকোনো একজন শুক্রবার জুমআর নামাজের পর ২ রাকাআত নামাজ আদায় করে ২১ বার সূরা মুজাম্মিল তেলাওয়াত করতে পারেন। সবসময় নিয়ম মত এ আমল করলে আল্লাহ্‌ চাহে তো খুব শীঘ্রই বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া যাবে।

৮. বিয়ে হওয়ার দোয়া- ইয়া ফাত্তাহু পাঠ করা

বিবাহযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যেসব যুবক-যুবতীদের বিয়ে হচ্ছে না, তাদের মধ্যে ছেলেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে এবং বিবাহযোগ্য মেয়েরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর সূর্য ওঠার আগে ৪০ বার করে ৪০ দিন পর্যন্ত ’ইয়া ফাত্তাহু’ পাঠ করবেন।

ইয়া ফাত্তাহু মহান রাব্বুল আলামিনের একটি পবিত্র নাম। এই পবিত্র নামটি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭১ বার পাঠ করলে অভাব দূর হয়, মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহ্‌র রহমতে সকল কাজ সহজ হয়ে যায়। এছাড়া কিছু আলেম বলেছেন, চল্লিশ দিন সূরা মুমতাহিনা তেলাওয়াত করলে দ্রত বিয়ে হয়।

৯. সূরা আল-ফুরকান পাঠ করা

বিয়ের জন্য দ্বীনদার, সৎ ও যোগ্য পাত্র-পাত্রীর জন্য দোয়া করতে হবে। যাদের সময়মত বিয়ে হচ্ছেনা তারা প্রত্যেক নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাছূরা পড়ার পর সূরা আল-ফুরকানের এই আয়াতটি পাঠ করে সালাম ফিরাবেন। আয়াতটি হলো-

’রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররি-ইয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিওঁ-ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা’

বিয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত এ আমলটি করলে আল্লাহভক্ত, দ্বীনদার, পরহেজগার ও আদর্শ পাত্র-পাত্রী পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ্‌। বিবাহিত দম্পতিরাও এই দোয়াটি করতে পারেন। এতে দাম্পত্যজীবন হবে আরও সুখের হবে।

১০. বিশেষ কিছু বিয়ে হওয়ার আমল ও দোয়া

পছন্দের মানুষটির সাথে বিয়ে হওয়ার জন্য বেশী বেশী সালাতুল হাজত পড়ে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করুন। সালাতুল হাজত দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। মনে রাখবেন আপনি যদি কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করেন তাহলে ফেরেশতারা‌ও আপনার জন্য দোয়া করবেন। এজন্য বিয়ের বয়স হওয়া সত্ত্বেও যাদের বিয়ে হচ্ছেনা এমন মুসলিম ভাই-বোনদের জন্যও দোয়া করুন। তাদের জন্য দোয়া করলে রাব্বুল আলামিনও আপনাকে সাহায্য করবেন। পবিত্র ও দ্বীনদার স্বামী-স্ত্রী পেতে হলে নিজেকেও পবিত্র রাখা জরুরী।

ধৈর্য সহকারে নিয়মিত সূরা নূর, সূরা মুমিনুন, সুরা ওয়াকিয়াহ্, সূরা লোকমান, সূরা মুলক, সুরা শুআরা, এবং সুরা আল বাকারাহ্ সাধ্যনুযায়ী পড়তে থাকুন। তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন, মিথ্যা বলা ও হারাম খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ুন এবং গোপনে দান-সাদকাহ করুন। সাদকাহ দ্বারা বিপদাপদ দূর হয়। বিশেষভাবে যাকে বিয়ে করতে চান তার জন্য, নিজের ও তার পরিবার এবং সকল মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

কিভাবে বিয়ে হওয়ার আমল করবেন

পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামীন বলেন-

’হে মুমিনগন! তোমরা নামাজ ও ধৈর্যধারণের মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলার কাছে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তিনি ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’ (সুরা বাকারাঃ ১৫৩)

আমাদের সবারই উচিত নেককার সঙ্গী পাওয়ার দোয়া করা। তবে পছন্দের মানুষটিকে স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে পাবার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া করতে কোনো বাধা নেই। বিয়ে হওয়ার আমল করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল করার খুবই জরুরী। বিয়ে হওয়ার দোয়া করার সময় একান্ত বিনয়, নম্রতা এবং কান্নাকাটি সহকারে দোয়া করবেন। দোয়া করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো ভোররাতে তাহাজ্জুদ সালাতের পরে, আযান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়, জুমার দিন আসর থেকে মাগরিব নামাযের মধ্যবর্তী সময়, শবে কদরের রাতে, সেজদা অবস্থায়, রোযা রাখা অবস্থায় এবং সফররত অবস্থায়।

বিয়ে হওয়ার জন্য অবশ্যই ধৈর্য ধরে বিয়ে হওয়ার আমল করতে হবে। তাছাড়া বিয়ে হওয়ার দোয়া করার সময় বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়েও দোয়া করতে হবে। আপনার ভালোবাসার মানুষটিও যেন আপনাকে ভালোবাসে, আপনাকে ছাড়া অন্য কারো দিকে না তাকায়, বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে যাতে মহান রাব্বুল আলামিন রহমত ও বরকত দান করেন এজন্য দোয়া করবেন।

শেষ কথা

বিয়ে সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধানের ভালো উপায় হল, বিয়ে হওয়ার আমল ও দোয়া করার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিতদের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রীর অনুসন্ধান করতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন ঘটক বা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আল্লাহ্ তাআলার প্রতি দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন। শীঘ্রই বিয়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ! আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের সকল সমস্যা দূর করে দিন আর যাদের বিয়েতে দেরি হচ্ছে, তিনি সবাইকে দ্বীনদার পাত্র-পাত্রী মিলিয় দিন। (আমীন)

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, সেবা, এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com

12 COMMENTS

  1. Chơi Fun88 rất đơn giản! Bạn chỉ cần đăng ký tài khoản, nạp tiền và chọn trò chơi yêu thích. Fun88 cung cấp hướng dẫn chi tiết cho từng trò chơi, giúp bạn dễ dàng làm quen và tham gia cá cược. Hãy thử ngay để trải nghiệm những giây phút giải trí hấp dẫn! cách chơi fun88

  2. I truly appreciate your openness and willingness to connect. I’d love to stay in touch, possibly through email, and I welcome any feedback to help me improve. Thank you again for your inspiring post. I look forward to our continued discussion. Please feel free to reach out to me via email.

    my page … 24kbet

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here