মূলত অলসতা এক ধরনের রোগ। যাকে পরিচর্যা করতে করতে আমরা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দেই। যার কারণ প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের শিক্ষা, কর্ম ও ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন ভাবে অনেক পিছিয়ে পড়ছি। আসুন জেনে নিই, তেমনি কিছু কার্যকরি উপায়-
১) আপনি হয়তো বলতে পারেন, ‘ভালো লাগে না’। এটা প্রত্যেকটি মানুষের সাধারণ একটি সমস্যা। কিন্তু যেটা ভালো লাগে না সেটা আপনি করতে যাবেন কেন? ভালো লাগার কাজটি দিয়েই শুরু করুন, হোক সেটা যে কোনো কাজ। একটি কাজ করতে গিয়ে মাঝপথে আটকে গেছেন, তাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন? যে কাজটিতে আটকে গেছেন সেটা নিয়েই লেগে থাকুন, আজ না হোক কাল, কাল না হলে পরশু হলেও তো সে সমস্যাটির সমাধান করতে পারবেন
২. জীবনের প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বেঁধে নিন। আমরা জানি, সফলতা অর্জনের প্রথম ধাপই হলো লক্ষ্য নির্ধারণ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো অবধি দৌঁড়াতে থাকুন। দৌঁড়াতে না পারলে হাঁটতে থাকুন, মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখুন তবুও থেমে যাবে না। তাহলে অলসতা আপনার ধারেকাছেও যেতে পারবে না। সময়মত ঠিকই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সফলতার সহিত পৌঁছে যাবেন।
৩. মনে রাখবেন, কোনো কাজই বড় নয়। বরং ছোট ছোট কাজগুলো একত্রে হয়েই একটি বড় কিছুর সূচনা হয়। তাই আপনার প্রতিটি কাজকে আপনার সুবিধামতো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন৷ এতে করে আপনি খুব সহজে ও অল্প পরিশ্রমের দ্বারা প্রতিটি অংশের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন৷
৪. ‘আজ থাক, কালকে সকালে উঠেই কাজটা শেষ করে ফেলবো।’ এই একটা বাক্য প্রতিনিয়ত আমাদেরকে যে কতটা পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা আমরা নিজেরাও কল্পনা করতে পারি না। কারণ, এই ‘কাল’ দিনটা কখনোই আসে না। অলসতার বেড়াজালে এই ‘কাল’ দিনটা আমাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়৷ তাই প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করে ফেলুন।
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
৫. প্রতিদিন সময় অনুযায়ী খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিন। তবে হ্যাঁ, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ ও অনিদ্রা যেমন আপনাকে অক্ষম করে তুলবে ঠিক তার বিপরীতে অতিরিক্ত খাওয়া ও প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ৬-৮ ঘন্টার বেশি ঘুমালেও তা আপনাকে অলস করে তুলবে। তাই নিয়মিত খাবার, নিয়ন্ত্রত ঘুম ও কাজের ফাঁকে বিশ্রামের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে বেশ কর্মক্ষম করে তুলবে।
৬. নিজের কাজে অযুহাত দেখানো মানে নিজেকে ধোঁকা দেয়া। তাই কোনো ধরনের অযুহাত ছাড়াই সামনে যে কাজটিই আসবে, সে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। প্রতিটি কাজই যে আপনি সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন তা নয়। যেখানে আটকে যাবেন, থেমে থাকবেন না। থামলেই অলসতা আঁকড়ে ধরবে। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন, প্রয়োজনে অন্যদের সাহায্য নিবেন।
৭. বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি মানুষের যেকোনো কাজে মনোযোগ হারানো বা অবহেলিত হওয়ার মূল কারণ হলো মোবাইল ফোন৷ কাজের মাঝে ফোনটা একবার হাতে নিলে আর বন্ধুদের সাথে ভার্চুয়াল আড্ডা শুরু হলে সেখান থেকে তাৎক্ষণিক বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।
এভাবেই শুয়ে বসে ভার্চুয়াল আড্ডায় ঘন্টা দুয়েক কাটিয়ে দিলেন। কাজটাও রয়ে গেল অসম্পূর্ণ। তাই যেকোনো কাজ শুরু করার আগে আপনার ফোনের ডাটা অফ রাখুন এবং ফোনটিই আপনার হাতের নাগালের বাহিরে রাখুন।
অলসতাকে ছুঁড়ে ফেলুন। অলসতা আপনাকে কখনই সামনের দিকে এগোতে দিবে না। অলসতায় মিলবে শুধু হতাশা, বিষন্নতা ও ব্যর্থতা।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
Very interesting points you have noted, appreciate it for putting up.Leadership
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.