.
Published: Sun, May 12, 2019 12:02 AM
Updated: Sat, Dec 21, 2024 11:27 AM


আদর্শ স্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য -

আদর্শ স্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য -



ঘর বা আবাসগৃহ হচ্ছে এমন একটি ছোট্ট রাষ্ট্র, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার এই মৌলিক উপাদানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে: স্বামী, স্ত্রী, পিতা ও মাতা এবং সন্তান-সন্তুতি। সুতরাং তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কর্তৃক তাঁর বান্দাদের প্রতি প্রদত্ত নিয়ামতরাজির মধ্যে অন্যতম। তিনি বলেন:

"আর আল্লাহ তোমাদের গৃহকে করেন তোমাদের আবাসস্থল।" - (সূরা আন-নাহল: ৮০)

আর এই ঘরের গুরুত্ব ও তার মহান মর্যাদার কারণে ইসলাম তার বিষয় ও কার্যক্রমসমূহকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়েছে এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহকে তার মৌলিক উপাদান অনুযায়ী বণ্টন করেছে। বিশেষ করে মৌলিকভাবে মুসলিম নারীর সাথে যা সংশ্লিষ্ট (তা), কেননা সে হচ্ছে ঘরের মধ্যে মা, অনুরূপভাবে স্ত্রী, কন্যা ও বোন; সুতরাং ঘরের মধ্যে তার অনেক বড় করণীয় রয়েছে এবং ঐ ঘর নামক রাষ্ট্রের মধ্যে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যও অনেক বড়, যে রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার জন্য ইসলামের শত্রুগণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এ রাষ্ট্রটি হচ্ছে সমাজের প্রতি প্রসারিত এক বৃহৎ গবাক্ষ। সুতরাং যখন তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, তখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

সংসারের দায়িত্ব ও কর্তব্য
শরী'আত এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি নজর দেয়, যাতে উভয় গৃহকর্তা স্বামী ও স্ত্রীর কল্যাণকর সীমারেখার মধ্যে ব্যাপক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে দায়বদ্ধ থাকে। কারণ, বুখারী ও মুসলিমে বলা আছে, আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: "তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল (রক্ষণাবেক্ষণকারী), আর তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইমাম বা শাসক হলেন দায়িত্বশীল, আর তাকে তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর পুরুষ তার পরিবার ও সংসারের জন্য দায়িত্বশীল, আর তাকে তার পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ ও দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর নারী তার স্বামীর ঘর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপর এক বর্ণনায় আছে: 'নারী তার স্বামীর ঘর ও তার সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তাদের ব্যাপারে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।' আর খাদেম (সেবক) তার মনিবের ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ধারণা করি যে, তিনি (রাসূল) আরও বলেছেন: পুরুষ ব্যক্তি তার পিতার ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, আর তাকে তার দায়িত্বপালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর তোমাদের সকলেই দায়িত্বশীল, আর তোমাদের সকলকেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।"

আদর্শ স্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য:
আর এই কর্তব্যের মূল হলো স্বামীর প্রতি তার দায়িত্ব। তার উপর তার স্বামীর অধিকার অনেক বড়, যা তার পিতা-মাতার অধিকারের চেয়েও বেশি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার অধিকারের (হকের) পরেই তার অধিকারের শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান। আর এই অধিকারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে এসেছে আল্লাহ তা'আলার বাণী:

"পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন…" - ( সূরা আন-নিসা: ৩৪ )

হাদিস হতে আমরা পাই, 'আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা < থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুআয < সিরিয়া থেকে ফিরে এসে নাবী ﷺ-কে সাজদাহ করেন। নাবী ﷺ বলেন : হে মু'আয! এ কী? তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে দেখতে পাই যে, তথাকার লোকেরা তাদের ধর্মীয় নেতা ও শাসকদেরকে সাজদাহ করে। তাই আমি মনে মনে আশা পোষণ করলাম যে, আমি আপনার সামনে তাই করবো। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন : তোমরা তা করো না। কেননা আমি যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ ছাড়া অপর কাউকে সাজদাহ করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সাজদাহ করতে। সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! স্ত্রী তার স্বামীর প্রাপ্য অধিকার আদায় না করা পর্যন্ত তার প্রভুর প্রাপ্য অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে না। স্ত্রী শিবিকার মধ্যে থাকা অবস্থায় স্বামী তার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে চাইলে স্ত্রীর তা প্রত্যাখ্যান করা অনুচিত। হাসান, সহীহ, ইরওয়াহ। (তিরমিযী ১৮৫৩) (তিরমিযী ১৮৫৩)

উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু 'আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "নারীদের যে কেউ মারা যাবে এমতাবস্থায় যে তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"

"যখন নারী তার পাঁচ ওয়াক্তের সালাত আদায় করবে; তার (রমযান) মাসের সাওম পালন করবে; তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করবে, তখন তাকে বলা হবে: তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা কর, সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবশে কর।" - (ইমাম আহমদ হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল: কোন নারী সবচেয়ে উত্তম? জবাবে তিনি বললেন: ঐ নারীই উত্তম, যে নারী তার স্বামীকে আনন্দ দেয় যখন সে তার দিকে তাকায়; তার আনুগত্য করে, যখন সে নির্দেশ দেয় এবং তার নিজের ও সম্পদের ব্যাপারে সে যা অপছন্দ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে না।" (ইমাম নাসায়ী হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

তার সাথে উত্তম আচরণ করা এবং তার কষ্ট লাঘব করা। আর এর উপরই নির্ভর করে তাকে সন্তুষ্ট করা এবং তার ব্যক্তিত্বকে রক্ষা করা।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "দুনিয়াতে কোন স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিলেই তার ডাগড় চক্ষুবিশিষ্ট হুরী স্ত্রী বলে উঠে: তুমি তাকে কষ্ট দেবে না; আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তোর নিকট আগন্তুক, অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে। " - ( ইমাম তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

সে তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত নফল সাওম (রোযা) পালন করবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর জন্য সাওম (নফল রোযা) পালন করা বৈধ নয়; আর স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করতে দেবে না …।" - ( ইমাম বুখারী ও মুসলিম র. হাদিসখানা বর্ণনা করেন)।

স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীর ঘরকে সংরক্ষিত রাখা। সুতরাং সে তার ঘরে কোন অপরিচিত পুরুষ অথবা এমন কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটাবে না, যার অনুপ্রবেশকে তার স্বামী অপছন্দ করে, যদিও সেই ব্যক্তিটি তার ভাই হয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: "জেনে রাখ! তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপভাবে তোমাদের উপরও তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে; সুতরাং তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে যেতে না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন তোমাদের ঘরের মধ্যে এমন কাউকে অনুমতি না দেয়, যাকে তোমরা অপছন্দ কর। আরও জেনে রাখ! তোমাদের উপর তাদের অধিকার হল, তোমরা তাদের বস্ত্র ও অন্যের ব্যাপারে তাদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করবে।"

স্বামীর জন্য সাজগোছ করা, যাতে নিজের প্রতি তাকে আকৃষ্ট করা যায়। এর ফলে স্বামী তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখবে এবং তাকে হারামের মধ্যে ছেড়ে দেবে না। স্ত্রীর তাই উচিত নিজেকে এমন বস্তুর দ্বারা সুসজ্জিত করার চেষ্টা করা, যাতে স্বামী আকৃষ্ট হয়; ফলে তার চোখ সুন্দরের প্রতি পড়বে এবং তার নাক দ্বারা সে সুন্দর ঘ্রাণই পাবে; যেমনিভাবে সে তাকে কোমল কথা ও উত্তম বক্তব্য ব্যতীত অন্য কোন মন্দ কথা শুনাবে না।

ইসলামের ভিত্তিতে আমরা বিয়েটা পরিবারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি একজন নারী হিসেবে বা একজন লাইফ-পার্টনার হিসেবে একজন অর্ধাঙ্গীর দায়িত্বগুলো রেফারেন্স সহ আলোচনা করার। আশা করি আমাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে একজন মুসলমান নারী হিসেবে একজন অর্ধাঙ্গীর বিবাহিত জীবন আরও সুন্দর ও বরকতময় হবে।

যোগাযোগ 
তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়া 
উত্তরা ,আজমপুর 
বি এন এস সেন্টার 
রুম ৯২৩ ,লিফ্ট ০৯ 
০১৯৭২০০৬৬৯৩ 
e-mail : somataslimamedia@gmail.com
web site : www.taslimamarriagemedia.com

 — withPrince Shawonসৌরভ হাসান শাওন and Muhammad Shawon.

You can also find us on Google play store. Keeping all the fine privileges we confirm the best for the people so that they can have our services all the time.

The bride or groom you are looking for
What happen if you get married in time
How could you find the perfect match
Matrimonial website in Bangladesh
Looking For bride in Bangladesh
The Proposal Styles in Bangladesh
The age for getting married
The Important of Marriage in Life
What Is Divorce? 
Bengal Matrimonial sites are now safe for the client

Related post….
Looking for bride in Dhaka
Matchmaker website in Bangladesh
Matrimonial Website in Bangladesh

Matrimonial Website Bangladesh
Islamic Matrimonial website service
Bangla Wedding Website
Bangladeshi Marriage Media USA
Islamic Matrimonial website UK Bangladesh
Bangla Wedding Site in Dhaka  
A Trusted place of Matrimonial Bangladesh


Register now to talk with your life parner.   Do you have account?   Login  
Categories: Our responsibilites,
Tags: Bangla Marriage, Bangla Marriage Website, Bangla Matchmaker, Bangla Matchmaker website, Bangla Matrimonial, Bangla Matrimonial Site, Bangla Matrimony, Bangla Matrimonial sites, bangla matrimonial website, Bangla matrimonials, Bangladeshi Marriage
Division: Barisal
District: Barisal
Thana: Agailjhara
This post read 2271 times.
Taslima Marriage Media Blog


Suggested Posts